করোনা – ৮৪
ইউসুফ রেজা
অজ্ঞতা আমাকে এখানে নিয়ে এলো
অল্পেই সন্তষ্ট না থেকে
অজানাকে অবজ্ঞা করেছি
শতাব্দির স্রোত আমার শিরায় ঝড় তোলে
আর কিছু দেখছি না চোখে
দু’কানে পাথর চাপা অন্ধ গহ্বরে।
ফুসফুসে গগনভেদী খান্ডব দাহন
আমাকে এখন আর কি বলবে শ্রমণ
প্রকৃতির প্রতিশোধ ঠিকই আজ বুঝি
দৃষ্টিহীন ভাঙা সাঁকো পেরোবো কিভাবে?
. শুভ হোক ১৪২৭
ইউসুফ রেজা
সূর্য উঠে গেছে আজ পিতামহ পাশে এসে বসে
তাকে আমি সেবা দিই ঘন ঘন দেখছি ক’বার
শ্লেষ্মা কাশি বুকে কফ শ্বাসটান মাঝে মাঝে আসে
নতুন বছর তবু শুভ হোক আজকে সবার।
এরকম দিন আর কখনওই আসে নাই আগে
মিডিয়াতে একই কথা পত্রিকায় অভিন্ন কভার
সময় কি এসে গেছে এখনই কি চলে যেতে হবে
নতুন বছর তবু শুভ হোক আজকে সবার।
পৃথিবীতে জন্ম মৃত্যু রোগ শোক আছে প্রতিদিন
আলো হাতে আগুনের ভষ্ম হবো যা হোক হবার
মানুষ তো এগিয়েছে প্রয়জনে যদি বা পিছায়
নতুন বছর তবু শুভ হোক আজকে সবার।
এখন যতই বাজে বেহালার বিষন্ন আওয়াজ
ভবিষ্যতে দুঃখহীন ফুটবে ফুল টগর জবার
এবছরই শেষ নয় আশা নিয়ে বেঁচে আছি আজ
নতুন বছর তবু শুভ হোক আজকে সবার।
করোনা – ৮২
ইউসুফ রেজ
ঘরের মধ্যে একাকি থাকবো
সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে
বের না হলেও সাবান পানিতে
হাত ধোবো মাঝে মাঝে।
তারপরও যদি কোভিড-১৯
দেহের মধ্যে আসে
স্বাস্থ্যকর্মী অনলস ভাবে
দাঁড়িয়ে রয়েছে পাশে।
মরার আগেই মরে যাবো কেন
আমরা মানুষ জাতি
আমাদের বশ বন্য বরাহ
নীলতিমি থেকে হাতি।
আসুক হাজার করোনার দল
গলায় ও ফুসফুসে
দেহের লক্ষ এন্টিবডিরা
সবগুলো নিবে শুষে।
করোনা – ৮০
ইউসুফ রেজা
ইঁদুর বাদুর তেলাপোকার
স্যুপ নাকি হয় চীনে
উহান গিয়ে শুক্কুর আলী
খেয়েছিলেন কিনে।
ব্যাঙের স্যুপে ব্যাঙরা লাফায়
বাদুর ওড়ে ব্যাট স্যুপে
নানান রকম শুক্কুর আলী
খেয়েছিলেন নিশ্চুপে।
সব প্রাণীকেই হালাল বলে
চাইনিজদের আইনে
চায়না ফেরত শুক্কুর তাই
আছেন কোয়ারেন্টাইনে।
করোনা -৭৮
ইউসুফ রেজা
হপ্তা যাবত সর্দি কাশি
এই কথাটা জেনে
মা ও মেয়ে লক ডাউন হয়
রজনী বোস লেনে।
লাল পতাকা টানিয়ে দিলো
হলুদ বাড়ির ছাদে
বাসিন্দারা দৌঁড়ে পালায়
চামচিকারা কাঁদে।
কোভিড- ১৯ কেমনে এলো
পুরনারীর পিছু?
তিন দিন পর জানা গেল
হয়নি তাদের কিছু।