শামসুল হক বলেন, ‘সম্মতিপত্রে লেখা থাকবে– করোনার টিকা সম্পর্কে আমাকে অনলাইনে এবং সামনাসামনি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই টিকা গ্রহণের সময়, অথবা পরে যেকোনো অসুস্থতা, আঘাত বা ক্ষতি হলে, তার দায়ভার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা সরকারের নয়।’
তিনি বলেন, ‘সম্মতিপত্রে আরো লেখা থাকবে– আমি সম্মতি দিচ্ছি যে, টিকা গ্রহণ ও এর প্রভাব সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন হলে আমি তা প্রদান করবো। জানা মতে, আমার ওষুধজনিত কোনো অ্যালার্জি নেই।’
এছাড়া টিকাদান পরবর্তী প্রতিবেদন, অথবা গবেষণাপত্র তৈরির বিষয়ে অনুমতি দিলাম। আমি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে এই টিকার উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে টিকা গ্রহণে সম্মত আছি– বলেও উল্লেখ করা থাকবে সম্মতিপত্রে।
এই সম্মতিপত্রে উল্লেখ থাকা বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে শামসুল হক বলেন, ‘যদি কারও কোনো সমস্যা থাকে এবং এটি যদি কোনো গ্রহীতা না জানিয়ে থাকেন তবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও তা আমরা বুঝতে পারবো না।’
শামসুল হক বলেন, ‘কেন্দ্র ও ভ্যাকসিন গ্রহণের তারিখ এসএমএস বা খুদে বার্তার মাধ্যমে সবাইকে জানানো হবে। তালিকাভুক্তদের দুই মাসের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়ে গ্রহীতাকে একটি কার্ড দেওয়া হবে। কার্ডটি ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে এই নিয়ে আসতে হবে গ্রহীতাকে। ভ্যাকসিন দেওয়া শেষ হলেও কার্ডটি সংরক্ষিত করতে হবে। এছাড়া যদি কার্ডটি হারিয়ে যায় তবে সেটি www.surakkha.com.bd ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এই ওয়েবসাইট থেকেই ভ্যাকসিন গ্রহীতা সনদ সংগ্রহ করে নিতে পারবে।