২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলাকালে টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ নামে বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা বাংলাদেশ পর্যটন মন্ত্রণালয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন নারী পর্যটক বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন। পুরোটা সময় তিনি বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে নানা অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গ্রাম-গঞ্জে সাধারণ মানুষেরা তাকে গ্রহণ করেছে পরম মমতায়। ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীদের কাছেও তিনি চমৎকার আতিথেয়তা লাভ করলেন। ফিরে যাওয়ার সময় তাঁতে বোনা একটা গামছা তিনি নিয়ে যান পরম যত্নে। এয়ারপোর্টে বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালক তাকে বিদায় জানালেন যেন খুব কাছের প্রিয় মানুষের মতো।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তার উলটো। জাফলংয়ে স্থানীয়দের হাতে এক নারী কীভাবে নজিরবিহীন হেনস্তার শিকার হলেন তা আমরা দেখেছি। কয়েক বছর আগে এক নারী পর্যটক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি তুলেছেন। মাসখানেকের সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে তার প্রিয় ক্যামেরাটি হারান। পরে ঘটনাটি আলোচনার জন্ম দিলে পুলিশের তৎপরতায় ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ক্যামেরার মেমোরিটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ব্যথিত হৃদয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। কক্সবাজারে গত বছরও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী।