রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোনো দেশ ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে তাকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ গতিতে তাদের জবাব দেবে মস্কো। এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মূলত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে ক্রেমলিন বলেছে, মস্কোর ধৈর্য পরীক্ষা নেওয়া উচিত হবে না। ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করা হবে ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। ইতিমধ্যে রুশ পররাষ্ট্র সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। এ অবস্হায় পুতিনের হুঁশিয়ারি প্রথম পৃষ্ঠার পর পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না।
রাশিয়ার অঞ্চলে পরবর্তীতে আর কোনো হামলা হলে এর জবাব হবে কঠিন। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। একইসঙ্গে দেশটি অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়াকে হামলার উসকানি দিয়ে ইউরোপের নিরাপত্তা অবমূল্যায়ন করছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। দিত যতোই যাচ্ছে এর মধ্যে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুই মাস পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে সম্প্রতি রাশিয়া জানিয়েছে তাদের অঞ্চলে কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ নিয়ে রাশিয়া সতর্ক করেছে, এমন হামলার ফলে উত্তেজনা আরও বাড়বে।
তবে রাশিয়ার হামলার দায় এখন পর্যন্ত সরাসরি স্বীকার করেনি ইউক্রেন। তবে দেশটি রাশিয়ার ওপর হামলার ঘটনাকে প্রতিশোধ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
মস্কোতে রিপোর্টারদের রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নারী মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘পশ্চিমারা খোলাখুলিভাবে কিয়েভকে ন্যাটো দেশগুলোকে থেকে প্রাপ্ত অস্ত্র দিয়ে রাশিয়াকে আক্রমণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের পরামর্শ দিচ্ছি আমাদের ধৈর্যের আর পরীক্ষা নেবেন না।’
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমারা বিশেষ করে ব্রিটেন ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করে ইউরোপের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে।
মারিয়া জাখারোভা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে পশ্চিমাদের পুতুল সরকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে রাশিয়ার হুমকি হিসেবে ব্যবহার করছে। রয়টার্স।