পদ্মা-মেঘনা নদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নৌ-ডাকাত উজ্জ্বল মিজি (৪০) খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাবলা ডাকাতের নেতৃত্বে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করলে গুরুতর আহত হয় উজ্জ্বল মিজি। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মতলব উত্তর থানা ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামালসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
উজ্জ্বল মিজির বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কালীরচর গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আব্দুল হক মিজি।
ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল জানান, মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই খুন হয়েছে উজ্জ্বল মিজি। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে বাবলা ডাকাতের নেতৃত্বে উজ্জ্বল মিজিকে কুপিয়ে জখম করে। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে উজ্জ্বল মিজি মারা যায়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, উজ্জ্বল মিজি ২০০০ ব্যাচ নিয়ে শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছিলেন ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে। রাতে ওই অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে আসে। ওখানে বাবলা ডাকাতের নেতৃত্বে প্রথমে ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তার সঙ্গের লোকজন সব ছোটাছুটি করে দূরে সরে গেলে তাকে রামদা ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ফেলে চলে যায় বাবলা ডাকাত। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানায় খবর দেন।
উজ্জ্বল ডাকাতের বিরুদ্ধে শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে। বাবলা ডাকাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় ১৫টি ডাকাতি মামলা চলমান আছে। তারা দুজনই আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার। মূলত নদীতে ডাকাতি নিয়ে তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। তবে মামলা হলে পরবর্তীতে গভীর তদন্তে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলেও মন্তব্য করে ওসি শাহজাহান কামাল।