ইয়েমেনের রাজধানীসহ দুটি শহরে ব্যাপকভাবে বোমাবাজি ও বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদেশী শ্রমিকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। হতাহতের নিশ্চিত খবর পাওয়া না গেলেও বর্তমানে দুই শহরে অন্তত ৫-৬ হাজার বাংলাদেশী অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিতে বসবাস করছেন। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় তারা দ্রুত দেশে ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু কীভাবে, কার সাথে যোগাযোগ করে তারা তাদের জীবন বাচাব্নে সেই কুলকিনারা কেউ-ই খুজে পাচ্ছেন না। কারণ দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দুতাবাস নেই।
আটকেপড়া বাংলাদেশীদের দাবি, বাংলাদেশ সরকার যেনো তাদের দ্রুত উদ্ধারে এগিয়ে আসে। পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়ায় বাংলাদেশে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরাও উদ্বিগ্ন।
আজ সোমবার বিকেলে ইয়েমেন থেকে টেলিফোনে নয়া দিগন্তকে দেশটির সর্বশেষ অবস্থা বর্ননা করেন রাজশাহী বাঘমারার সাইফুল ইসলাম। তিনি আর্তি জানান, আমাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্য বলেন, ‘আমরা এখানে বেশকিছু বাংলাদেশী আছি কিন্তু কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। কোথায় কীভাবে বার কার কাছে যাব তা বুঝতে পারছি না। ভারত পাকিস্তানসহ অন্যরা যারা ছিল তারা সবাই গতরাতে চলে গেছে। শুধু আমরা বাংলাদেশীরাই আটকা পড়ে আছি। আমরা কোথাও বের হতে পারছি না। কোনো বার্তাও পাচ্ছি না। তাই কি করবো বুঝতে পারছি না। আমাদেরকে এখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।
কি পরিমান বাংলাদেশী দেশটিতে আটকা পড়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সংখ্যাটা সঠিক বলতে পারবো না, তবে আইডিয়া করে ও অন্যদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করে বলতে পারি, ইয়েমেরে এডেল শহরে আছে এক থেকে দেড় হাজার বাংলাদেশী আর ছানায় আছে আরো ৩-৪ হাজারের মতো।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশীদের অধিকাংশই তেল কোম্পানিতে কাজ করি।
সমস্যা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যা হলো এখানে রোড ঘাট সব বন্ধ। রাস্তায় শুধু বোমাবাজি হচ্ছে। বিমান থেকেও হামলা হচ্ছে। আমরা ঘরেও থাকতে পারছি না বাইরেও বের হতে পারছি না। আর কোম্পানিও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ভারত আর পাকিস্তানের লোকজন গতকাল চলে গেছে। আমাদের এখানে দুতাবাস নেই। তাই কার সাথে যোগাযোগ করবো তা বুঝতে পারছি না। এখন যে পরিস্থিতি তা আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হচ্ছে।

