ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের বিলাসবহুল একেকটি লঞ্চের ধারণক্ষমতা সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০। কিন্তু ঈদ মৌসুমসহ বিভিন্ন মৌসুমেই ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করে থাকে লঞ্চগুলো। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও শনিবার (৭ মে) ও রবিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রায় ২০টির মতো লঞ্চে ছাদে ও কার্নিশে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এরপরও যাত্রী চাপ বিবেচনায় ৯টি লঞ্চ সার্ভিসে রাখা হয়েছে। এতে করে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী পরিবহন করে মালিকপক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা অধিক লাভবান হলেও যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই লঞ্চগুলোতে উঠতে হচ্ছে। এসব যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে, ছাদে ও কেবিনের আশপাশেসহ বারান্দায় কোনো রকমের চাদর বিছিয়ে বসে বা দাঁড়িয়েই কর্মস্থলে ফিরছেন।
ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে আসা মানুষের রাজধানীতে ফিরতে পথে পথে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরকারি স্টিমার সার্ভিস বন্ধ থাকা ও সপ্তাহে মাত্র দু’দিন সার্ভিসে থাকা এমভি বাঙালি ও মধুমতি দিয়ে ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শনিবার সমাপ্ত করেছে বিআইডব্লিউটিসি। নিয়মিত সার্ভিসে এ জাহাজ দুটি সপ্তাহে দুদিন সার্ভিস দিলেও তাতে যাত্রীদের কোনো সুবিধা হচ্ছে না। কেননা সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে এ জাহাজ দুটি যাত্রী নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। কিন্তু আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান