১৯৯৯ সালের ৩১ মে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি দিন। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে সাঈদ আনোয়ার, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার, ইনজামাম উল হক, শহিদ আফ্রিদি, সাকলাইন মুশতাকদের নিয়ে গঠিত ভয়ংকর পাকিস্তান দলকে ৬২ রানে হারিয়ে দিয়েছিল তখনকার বাংলাদেশ দল! ২২ বছর পর সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে পাকিস্তানকে ৯ রানে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
বিজ্ঞাপন
বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় বাঘিনীরা জানিয়েছেন নিজেদের অনুভূতি।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি
প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ আসলে অন্যরকম। এই জয়টা আমাদের অনেক প্রয়োজন ছিল। এই টুর্নামেন্টে একটা মোমেন্টামের দরকার ছিল যেটা আজকে আমরা পেয়েছি। বিশ্বকাপে দেশের প্রথম জয়ে নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত অনুভব করছি। আশা করব, ভবিষ্যতেও আমরা যেন জয়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখি।
জাহানারা আলম
আজকের জয়ে আমরা তো অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমরা একটা ইতিহাস তৈরি করেছি। এটা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কয়েকধাপ এগিয়ে দেবে বলে আমার বিশ্বাস। নারী ক্রিকেটের জন্য এটা একটা মাইলফলক, যেটা ১৯৯৯ সালে পুরুষ ক্রিকেট দল করেছিল। ঠিক সেই কাজটাই আমরা করেছি আমাদের প্রথম বিশ্বকাপে সেই পাকিস্তানকে হারিয়ে। তাই এটা আসলেই একটা ইতিহাস এবং নারী ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
ফাহিমা খাতুন
খুবই ভালো লাগছে। কারণ সবসময় আমি একটা কথা বলে আসছি এবং টিমের সবাই বলে আসছে যে, আমরা সবসময় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলি জেতার জন্য। জয়ের ক্ষুধাটা থাকে আমাদের। আজ চেষ্টা করেছি পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে এবং শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনার সঠিক ব্যবহার করতে পেরেছি। একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল বা বাইরে থেকে অনেকে ভাবছিল যে ম্যাচ আমাদের হাত থেকে সরে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের টিমের আত্মবিশ্বাস ছিল। ওদের উইকেট পড়ছিল না ঠিকই, তবে ওদের রান আটকে রেখেছিলাম। সেটা আমাদের ক্রেডিট। ওরা রানের চাপে মারতে গিয়ে আমাদের উইকেট দিয়েছে এবং আমরা জয় পেয়েছি।
রুমানা আহমেদ
আমরা খুবই আনন্দিত। এই প্রথমবার আমরা বিশ্বকাপে এসেছি এবং তৃতীয় ম্যাচটেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব ভালোভাবে জয়লাভ করেছি। আমার কাছে যেটা ভালো লাগছে যে আমরা আমাদের ভাইদের মতো ইতিহাস রচনা করেছি। তারা যেমন তাদের প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল, আমরাও আমাদের প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সঙ্গে ভালোভাবে জয়লাভ করেছি। এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য বড় মাইলফলক হবে বলে মনে করি। এই জয়ের মাধ্যমে সামনের ম্যাচগুলোতে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মেয়েরা ভালো ক্রিকেট উপহার দেবে।
ফারজানা হক
জয় সবসময় আনন্দদায়ক। এটা অবশ্যই খুশির একটা বিষয়। এই জয়টা আমাদের সবার জন্য দরকার ছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল, সবাই মিলে যদি একসাথে খেলতে পারি তাহলে জয়টা আমাদের জন্য সম্ভব হবে। আমরা সেটা করতে পেরেছি বিধায় আজ জয় পেয়েছিল। সামনে যে আরও চারটা ম্যাচ আছে, এই জয়টা সেগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা হবে।