জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। আবহাওয়া অনেকটা খামখেয়ালি আচরণ করছে। আবহাওয়াবিদগণ বলছেন—এ বছর বর্ষাকাল শুরু হতে যাচ্ছে অকালেই। জ্যৈষ্ঠের শেষ কিংবা আষাঢ়ের শুরুতেই সাধারণত দেশে প্রবেশ করে বর্ষার দক্ষিণ-পশ্চিমি মৌসুমি বায়ু। যার মাধ্যমে গ্রীষ্মকে বিদায় জানিয়ে আগমন ঘটে বর্ষার। এবার মধ্য জ্যৈষ্ঠেই দেশে প্রবেশ করবে বর্ষার বাতাস। পুরো দেশে এ বায়ুর প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে মাত্র কয়েক দিন। শুরু হবে বর্ষাকাল। স্বাভাবিকের তুলনায় এবার বর্ষা এবং বন্যা দুইটাই বাড়বে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরামের পর্যালোচনা অনুযায়ী, এ বছর দক্ষিণ এশিয়ায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড মেটিওরলজিক্যাল অরগানাইজেশন বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস রিপোর্ট বলছে, জুন-জুলাই মাসে উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলে উত্তরের কিছু জেলায় বন্যা দেখা দিতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, বর্ষাবাহী মৌসুমি বায়ু দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশের দিকে। জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৭-১৮ তারিখের দিকে টেকনাফ উপকূলে পৌঁছাতে পারে মৌসুমি বায়ু।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সাসটেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বিল্ট এনভায়রনমেন্টের অ্যাডজাঙ্ক প্রফেসর ড.রাশেদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান বছরটি মাঝারি মানের লা নিনার বছর। এই বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত এবং বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার দাবি, এবার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় বন্যার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ।